Sun Mercury Venus Ve Ves
বিশেষ খবর
‘লক্ষী’ থেকে লক্ষীপুর, যার আরেক নাম সয়াল্যান্ড  লক্ষীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা  ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ  আ’লীগ আবারও ভোট চুরির পরিকল্পনা করছে - লক্ষীপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী  শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে বাংলাদেশে দিবাস্বপ্ন দেখার কোনো কারণ নেই - লক্ষীপুরে মাহবুব উল আলম হানিফ 

লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী রায়হানের সম্ভাবনা

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা তৎপর রয়েছেন। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন পেতে জোর লবিং করছেন মোঃ রায়হান। তিনি ঐ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের এ নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতা ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছে। তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। সরেজমিন ওয়ার্ড পরিদর্শনে জানা যায়, এ ওয়ার্ডে যে কয়েকজন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন তাদের মধ্যে মোঃ রায়হানের নাম সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছে। এর কারণ হিসেবে স্থানীয়রা বলছেন, তিনি পৌরসভার কাউন্সিলর পদে ২ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হন একাধিকবার। ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় এবং দলীয় কোন্দলের কারণে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকার পরও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ব্যালেট গণনার সময় কারসাজিতে অল্প সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে রায়হানের পরাজয় হয়। পরে ব্যালেট পেপার বাতিল ঘোষণা করা হয় বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, রায়হান ও তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার পরিবার স্থানীয়ভাবে সুপরিচিত ও কেউ কেউ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পৌরসভা গঠিত হবার পর তৎকালীন সাবেক ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মোঃ রায়হানের পিতা মরহুম মোঃ সুজায়েত উল্যা বেপারী সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁর শ্বশুর বাড়ীর সদস্যরাও আওয়ামী ঘরানার। রায়হানের শ্বশুর মরহুম নাদেরুজ্জামান ভূঁইয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ দিন। ঐ সময় তার চাচা শ্বশুর ইউনুছ ভূঁইয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কহিরুজ্জামান ভূঁইয়া সবুজ পৌর শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। রায়হানের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় রাহয়ানের ভগ্নিপতি এড. মো. জসিম উদ্দিন মাহমুদ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। লক্ষ্মীপুর জেলার আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আরেক নিকট আত্মীয়। ওয়ার্ড পুণঃবিন্যাসের পূর্বে পৌর এলাকা বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে ১০নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদে বিগত ১১ বছর দলীয় ও রাজপথে বিভিন্ন সংগ্রামে লড়াকু সৈনিক হিসাবে অর্পিত দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করেন রায়হানের বড় ভাই বাবুল হোসেন। তারই ভাতিজা আবদুর রহমান বিগত ৬ বছর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন দাদা, বাবা, ও চাচার মতো সুনামের সহিত। তাঁর আরেক ভাইয়ের ছেলে মোঃ সোহেল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে জেলা বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। আওয়ামী পরিবারের লোক হওয়ায় মোঃ রায়হানের পুরো পরিবার বিগত সরকারের আমলে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়েছে। রাজনীতি করার দায়ে তাদের নাশকতার হাত থেকে রায়হানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পায়নি, এমন কি তাঁর পিতা আওয়ামী লীগের নেতা, সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করুণ মৃত্যুবরণ করেন। রায়হানের ভাইরা এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ভাতিজারা তৎকালীন সরকারের নেতাদের রোষাণলের হাত থেকে রেহাই পাননি। মজুপুরের কামাল হত্যা ও ডাকাতিসহ আরো অনেক মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় পড়েন।
সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আবুল কালাম জানান, রায়হান নিজেই আওয়ামী রাজনীতি ঘরানার। পরিবারের বাইরে ব্যক্তি হিসাবে মোঃ রায়হান এর আলাদা ইমেজ আছে। এলাকার কাউন্সিলর না হলেও জায়গা জমি সংক্রান্ত ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা কিংবা বিবাদ ও জটিলতা তাঁর হস্তক্ষেপে সুন্দর সমাধান হওয়ার সুনাম রয়েছে। স্থানীয় সফল ব্যবসায়ী ও জনবান্ধব হিসেবেও তিনি ব্যাপক পরিচিত। তিনি ছাত্র জীবনে এলাকায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেতৃপর্যায়ে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিগত আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকা আলোচিত। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, রায়হান রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে তাঁর ব্যক্তিগত দান এবং পৌর এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যা এবং মসজিদ, মাদ্রাসায় অনুদানের সার্বিক সহযোগিতার জন্য মেয়রের দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা করেছেন। এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে তাঁর আন্তরিকতার অভাব নেই। কাউন্সিলর না হয়েও আওয়ামী লীগের ও এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে সালিশ দরবারে উপস্থিত থাকলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা অত্র ওয়ার্ডের সর্ব মহলে প্রশংসিত। মেয়র আবু তাহেরের একান্ত সহযোগিতায় ঐ ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণ, সংস্কার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পাকা ড্রেন নির্মাণ এবং পয়:নিষ্কাষণের সমস্যাসমূহ দূরীকরণে পৌরসভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্প প্রস্তুত করাতে এবং এলাকায় বিদ্যুতায়ন, নতুন আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগে রায়হানের প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। ইতিমধ্যে কিছু কাজ শেষ হয়েছে এবং পয়:নিষ্কাষণের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলছে। আগামী পৌরসভার কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ক্ষেত্রে রায়হানের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে জানা যায়। এসব বিষয়ে মোঃ রায়হানের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, যদি নির্বাচনকে ঘিরে তাঁকে নিয়ে জনগণের উৎসাহ সৃষ্টি হয় তবেই তিনি ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহ রাখেন।
-জাহাঙ্গীর লিটন