Sun Mercury Venus Ve Ves
বিশেষ খবর
‘লক্ষী’ থেকে লক্ষীপুর, যার আরেক নাম সয়াল্যান্ড  লক্ষীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা  ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ  আ’লীগ আবারও ভোট চুরির পরিকল্পনা করছে - লক্ষীপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী  শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে বাংলাদেশে দিবাস্বপ্ন দেখার কোনো কারণ নেই - লক্ষীপুরে মাহবুব উল আলম হানিফ 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ৩য় বার সম্পাদক নির্বাচিত

বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতী সন্তান, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের প্যানেলে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি পর পর তিন বার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনে নতুন রেকর্ড স্থাপিত হলো। ১৬ ও ১৭ মার্চ টানা দুই দিন ভোট গ্রহণের ফলাফল ঘোষিত হয়। এ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।

লক্ষ্মীপুর বার্তা’র আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিরল রেকর্ড স্থাপন করে বিজয়ী হবার জন্য লক্ষ্মীপুর বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মাতার নাম বেগম রওশন আরা। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ভাই-বোনরা সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালীর গোপালপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯২ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস থেকে এলএলবি (অনার্স) পাস করেন। বিশ্ববিখ্যাত লিংকনস-ইন থেকে ১৯৯৩ সালে ব্যারিস্টার এট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারিস্টার খোকন ১৯৯৪ সাল থেকে সুনামের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইলের মেয়ে আতিয়া মাহবুব এর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁরা একপুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক-জননী।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে লক্ষ্মীপুর বার্তাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছিলেন চৌমুহনীর দুর্বিষহ যানজট সমস্যার নিরসনের জন্য বাইপাস সড়ক নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। চৌমুহনীর বাইপাস সড়ক নির্মিত হলে দুর্বিষহ যানজটের অবসান হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে আসবে গতিশীলতা। তিনি তখন গর্বের সাথে উল্লেখ করেছিলেন যে, আমি প্রতি সপ্তাহেই নোয়াখালী যাই এবং পেশাগত আয়ের একটি অংশ এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করি। সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর এ দুটি জেলা স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হলে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন অনেক বাড়বে, বৃহত্তর নোয়াখালী খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলায় পরিণত হবে। এজন্য নর্থ ইরিগেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। আমি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী হবো। নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীর দুর্বিষহ যানজট এবং নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম প্রধান সমস্যা স্থায়ী জলাবদ্ধতার সমাধান সম্পর্কে ব্যারিস্টার  মাহবুব উদ্দিন খোকন যে উচ্চকিত আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তার সমাধান এখনও হয়নি। অনেকদিন গত হয়েছে, বৃহত্তর নোয়াখালীর সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এ দুটি সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

বৃহত্তর নোয়াখালীর মূল সমস্যা সম্পর্কে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেকার সমস্যাকে আমি বৃহত্তর নোয়াখালীর মূল সমস্যা বলে মনে করি। বৃহত্তর নোয়াখালী একটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। নোয়াখালীর লোকজনদের কর্মসংস্থানের জন্য বাইরে ছুটতে হয়। বৃহত্তর নোয়াখালীর অনেক শিল্পপতি আছেন, যারা জেলার বাইরে অনেক শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছেন। কিন্তু নিজ এলাকায় শিল্প-কারখানা গড়েননি। এরা নিজ নিজ এলাকায় শিল্প স্থাপন করতে পারেন। বৃহত্তর নোয়াখালীর বিশাল চরাঞ্চলে কল-কারখানা স্থাপিত হলে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে।