পটভূমি ও পরিচিতি
ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভাস্বর লক্ষ্মী অঞ্চল লক্ষ্মীপুর। লবন আন্দোলন খ্যাত এবং ইংরেজ নীলকরদের দৃষ্টিনন্দিত জেলা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন গঞ্জ ও শহরে একসময় ভিড়ত বিদেশি
সওদাগরি জাহাজ। কালক্রমে পশ্চাদপদে পতিত হলেও লক্ষ্মীপুরের রয়েছে এমনই সমৃদ্ধ অতীত।
লক্ষ্মীপুরের এরূপ ইতিহাস-ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং বর্তমান জনজীবনকে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সভ্যতায় সজীব করে তোলার মাধ্যমে এলাকার সামাজিক-অর্থনৈতিক
ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে প্রাণ সঞ্চারের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীপুর বার্তা ফাউন্ডেশন। ডায়নামিক গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও সরকারি অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত
এ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে সর্বদা গতিশীল রাখার মাধ্যমে অধিকতর সুবিস্তৃত করতে ঢাকার তোপখানা রোডে রয়েছে এর স্থায়ী কার্যালয়।
বাংলাদেশের মানচিত্রে লক্ষ্মীপুর আজ সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত; যার পেছনে রয়েছে সংগ্রামী ইতিহাস। ঐতিহ্যে ভাস্বর লক্ষ্মীপুর এলাকার
প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, কেন্দ্রীয় সরকারের ও বিচার বিভাগীয় সুযোগ-সুবিধা লাভের প্রত্যাশায় একে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীতকরণের
আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্রদের নির্বাচিত নেতা এম হেলাল। এরূপ আন্দোলনে তাঁর সহকর্মী ছিলেন বর্তমানে
বাংলাদেশ সরকারের অতিঃ সচিব শাহ আলম, ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ড. মাহমুদ আহমেদ,
রায়পুর কলেজের অধ্যক্ষ মামুনসহ আরও অনেকে। তাঁদেরকে সমর্থন সহযোগিতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মফিজুল্লাহ কবির,
বাণিজ্য অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. হাবিবুল্লাহ, সিএসপি আবদুর রব চৌধুরী, প্রফেসর কাজী ফারুকী প্রমুখ ব্যক্তিত্বগণ।
লক্ষ্মীপুর মহকুমাকে জেলায় উন্নীতকরণে তাঁদের এ আন্দোলনকে বেগবান করতে গঠন করা হয় লক্ষ্মীপুর মহকুমা ছাত্র-ছাত্রী সমিতি;
যার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন প্রফেসর ড. মফিজুল্লাহ কবির, কনভেনার ছিলেন এম হেলাল। এসময় অনির্বাণ শিখা/একুশ নামে
লক্ষ্মীপুরভিত্তিক একটি স্যুভেনিরও প্রকাশ করে এ সমিতি। পরবর্তীতে সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের আওতায় লক্ষ্মীপুর মহকুমা
থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা হলে এ সমিতির নামকরণ হয় লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতি, যার সভাপতি ছিলেন প্রফেসর ড. মফিজুল্লাহ কবির।
এভাবেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সাবেক নোয়াখালী পৃথক ৩ জেলায় বিভক্ত হলেও নোয়াখালীর মূল চেতনা এবং সমুজ্জ্বল স্বকীয় সত্তা আজও বিভক্ত হয়নি।
আর তাই বৃহত্তর নোয়াখালীর উন্নয়নে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীপুর বার্তা ফাউন্ডেশন আজ অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নের অগ্রণী প্রতিষ্ঠান।
লক্ষ্মীপুর বার্তা ফাউন্ডেশনের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মানসম্পন্ন পত্রিকা প্রকাশনা, স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে প্রবাসীদের সার্বক্ষণিক যোগসূত্রতা স্থাপন,
দেশি-বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় বৃহত্তর নোয়াখালীর উন্নয়ন, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিক শিক্ষা-সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্বকরণ,
এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমে আগ্রহী ও আত্মনিবেদিত করতে সেমিনার-ওয়ার্কশপ আয়োজন ইত্যাদি।