Sun Mercury Venus Ve Ves
বিশেষ খবর
‘লক্ষী’ থেকে লক্ষীপুর, যার আরেক নাম সয়াল্যান্ড  লক্ষীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা  ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ  আ’লীগ আবারও ভোট চুরির পরিকল্পনা করছে - লক্ষীপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী  শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে বাংলাদেশে দিবাস্বপ্ন দেখার কোনো কারণ নেই - লক্ষীপুরে মাহবুব উল আলম হানিফ 

শিক্ষাদ্যোক্তা ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিত্ব, এ জে গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী

শৈশবে-কৈশোরে কাঁচা রাস্তায় কাদামাটি মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে দূরান্তরের স্কুলে পড়ালেখা করেছেন, সেসব রাস্তা এখন পাকা, গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু সেসব দিনের কষ্টকাহিনী ভোলেননি; তাই আজ নিজেই সেখানে গড়ে তুলেছেন স্কুল, মক্তব, মাদ্রাসা; আর অদূর ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িত রয়েছেন সক্রিয়ভাবে, গড়ে তুলেছেন বেশ ক’টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। ভাবছেন- একটা শিল্প-কারখানা যদি নিজ এলাকায় করা যেত, তাহলে কত না ভালো হতো। শিল্প স্থাপনের চিন্তা যেমন মাথায় খেলা করছে, তেমনি ভাবছেন লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। পেশা শিল্প-বাণিজ্য, নেশা সমাজসেবা; আর শিক্ষাদ্যোক্তা হিসেবেও অর্জন করেছেন সুকৃতি। বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত এই উদারপ্রাণ ব্যক্তিত্ব হলেন শিল্পপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। সম্প্রতি তাঁর সাথে লক্ষ্মীপুর বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন একান্ত আলাপচারিতায় মিলিত হন। সেই আলাপচারিতার উল্লেখযোগ্য অংশ লক্ষ্মীপুর বার্তা’র সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফার অনুলিখনে নিচে সন্নিবেশিত হলো।
নিজ জন্ম-এলাকার কথা কি ভাবেন, এলাকার সাথে যোগাযোগ কেমন এবং সে যোগাযোগ কীভাবে রক্ষা করে থাকেন -এমন প্রশ্নে লক্ষ্মীপুরের সুসন্তান এলাকাপ্রেমী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, জন্ম এলাকার কথা সবসময় ভাবনায় আসে। এলাকার সাথে, সেখানকার লোকজনের সাথে যোগাযোগ আছে। আমার বর্তমান অবস্থানে থেকেও লক্ষ্মীপুর তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর উন্নয়নের কথা ভাবি। ব্যস্ততার মাঝেও ৩/৪ মাস পর পর এলাকায় যাই।
বৃহত্তর নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে আপনি কি গর্ববোধ করেন -এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহত্তর নোয়াখালীর গর্বিত সন্তান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, নোয়াখালী অনেক বিদ্বান-বিদুষী-জ্ঞানীগুণীর জন্ম দিয়েছে; যাদের জন্য শুধু নোয়াখালী নয়, সারাদেশই গর্ববোধ করতে পারে। নোয়াখালীর মাটিতে জন্মগ্রহণ করে আমিও নিজেকে গৌরবান্বিত এবং ভাগ্যবান বলে মনে করি। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা আমার প্রিয়; সুযোগমতো আমি তার ব্যবহারও করি। আপনার নিজ এলাকার এমন কোনো স্মৃতি আছে কি, যা আজও আপনার মনে দোলা দিয়ে যায় -এমন প্রশ্নে শিকড়-সন্ধানী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের ছোটবেলায় গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। এখন পাকা রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় তখন সেসব রাস্তা ছিল কাঁচা, মাঝে মাঝে ভাঙ্গা, কর্দমাক্ত। বাড়ি থেকে স্কুলও ছিল ৩/৪ মাইল দূরে। আমরা পায়ে হেঁটে গিয়ে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করেছি; এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে তা অবিশ্বাস্য মনে হবে।
আপনার নিজ এলাকার উন্নয়ন সম্ভাবনা সম্পর্কে বলবেন কি -এমন জিজ্ঞাসার জবাবে মাটি ও মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসায় সিক্ত দরদি ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুর জেলা উর্বর মাটির কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানে নারিকেল-সুপারি ছাড়াও বর্তমানে সয়াবিন গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সয়াবিনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে এগ্রো-বেইজড ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা হলে উৎপাদনকারী কৃষক উপকৃত হবে, দেশের আর্থিক উন্নয়নেও তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বৃহত্তর নোয়াখালীতে প্রধান সমস্যা কোনটি বলে মনে করেন এবং এর সমাধানে আপনার পরামর্শ কী -এমন প্রশ্নের জবাবে কল্যাণকামী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, নোয়াখালী ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল; এখানে শিল্পায়ন প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে- বৃহত্তর নোয়াখালীতে ১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে, যা উচ্চশিক্ষা বিস্তারে পর্যাপ্ত নয়। বৃহত্তর নোয়াখালীর ৩ জেলায় কারিগরি কলেজ এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা দরকার। তাহলে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকের সংখ্যা বাড়বে, মানব সম্পদের উন্নয়ন হয়ে বেকার সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। সরকারের পরিকল্পনাধীন ১০০টি ইকোনোমিক জোনের মধ্যে নোয়াখালীতে ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হলে নোয়াখালীর মানুষের উন্নতি হবে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
আপনি দেশের স্বনামধন্য শিল্পপতিদের একজন, নিজ এলাকায় শিল্প স্থাপনে আপনার কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কী -এমন প্রশ্নের জবাবে এলাকার প্রতি প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শিল্প স্থাপনের আগে অবকাঠামোগত বেশ কিছু উন্নয়ন দৃশ্যমান হতে হয়। যেমন- গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে কিনা, কাঁচামালের সহজপ্রাপ্যতা রয়েছে কিনা, দক্ষ- আধাদক্ষ শ্রমিক প্রয়োজনমতো পাওয়া যাবে কিনা -এসব সাত-পাঁচ ভেবে একজন শিল্পোদ্যোক্তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে সয়াবিনভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যায়। এ শিল্পের সম্ভাবনাও বেশ উজ্জ্বল। নোয়াখালীতে শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হলে শ্রমশক্তির সরবরাহে ঘাটতি হবে না, স্থানীয়ভাবে চাহিদা অনেকটা মেটানো সম্ভব হবে। নিজ এলাকায় শিল্প স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা আমার আছে, এ ব্যাপারে সময়-সুযোগের অপেক্ষায় আছি।
আপনি একজন সফল শিক্ষাদ্যোক্তা, ভবিষ্যতে নিজ এলাকায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোনো পরিকল্পনা আছে কি -এমন প্রশ্নের জবাবে এলাকাপ্রেমী দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে এখন অনেক স্কুল-কলেজ হয়েছে, শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুর জেলায় এখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। তাই লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা দরকার। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থান সংকুলান করতে পারে না বলে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে পারে না। ভর্তি বঞ্চিতদের কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পড়তে যায়; কিন্তু যারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির, তাদের পক্ষে ভারত কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ সম্ভব নয়। এজন্য অনেককে শিক্ষা বঞ্চিত থাকতে হয়। সেজন্য সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আরো বেশি গরিব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার পথ সুগম হবে। আর এ কারণেই আমি সরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।
নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী -এ তিন জেলাকে ঐক্যের চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় বলে মনে করেন -এমন প্রশ্নের জবাবে নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী ফেলো ফিলিংস এ বিশ্বাসী উদারপ্রাণ ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রশাসনিক প্রয়োজনে নোয়াখালী ৩ জেলায় বিভক্ত হলেও তাদের ঐক্যের স্পিরিট অটুট রয়েছে। তিন জেলার প্রশাসন ও উন্নয়নের দায়িত্বে যারা আছেন, যারা জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে নির্বাচিত প্রতিনিধি তারা বৈঠক করে তিন জেলার উন্নয়নের ধারাকে একই খাতে প্রবাহিত করতে পারলে কোনো অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না। এক অঞ্চলের উন্নয়ন হলে অন্য অঞ্চলের মানুষ ঈর্ষান্বিত হবে না, বরং নিজ অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে। তিন জেলার অটুট ঐক্য দেখলে কেন্দ্রীয় প্রশাসন তার মূল্যায়ন অবশ্যই করবে। এর ফলে উন্নয়নের গতি ব্যাহত হবে না, বরং দেশের উন্নয়নের মূলধারার সাথে বৃহত্তর নোয়াখালীও তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। নোয়াখালীর তিন জেলার প্রতিটি অঞ্চল সমতালে এগিয়ে যাবে, উন্নয়নের নতুন রেকর্ড স্থাপন করবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ প্রশাসক উন্নয়নের এ গতিধারায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
কোন্ প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটির মতো স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন -এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাপ্রেমী উদারপ্রাণ ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গড় শিক্ষার দিক থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। শিক্ষাক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়ন তেমন উল্লেখযোগ্য নয়, যা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উচ্চশিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। অভিভাবকগণ সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে পাঠায়, কিন্তু বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী সীমিত আসনের কারণে সেখানে ভর্তি হতে পারে না। শেষে বেসরকারি উদ্যোক্তারা ঠিক করলেন যে, তারা সরকারের অনুমতি নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবেন। সেই লক্ষ্য ও ভাবধারা থেকেই আমি সমমনাদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছি।
শিক্ষা উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছেন, কিন্তু গরিব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় কী ব্যবস্থা নিয়েছে -এমন জিজ্ঞাসার জবাবে শিক্ষাদ্যোক্তা সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির মেধাবীদের পূর্ণ-অর্ধ-সিকিভাগ বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
মানসম্মত শিক্ষা প্রচলনের ক্ষেত্রে কী নীতি প্রয়োগ করা হয় জানতে চাইলে শিক্ষান্নোয়নে আশাবাদী ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন- দেশে অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাব প্রকট, আমরাও এ সমস্যার বাইরে নই। বাইরে থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষক আনার চেষ্টা করছি, কর্মরত শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। আশা করি, তাদের সহযোগিতায় কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে আপনারা কোন্ পদ্ধতি অবলম্বন করেন -এমন প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, যারা সিনিয়র শিক্ষক এবং অভিজ্ঞ, জুনিয়র শিক্ষকগণ তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন, কাউন্সেলিং করেন, নিজেদের দুর্বলতাগুলো অকপটে তুলে ধরেন। এর ফলে জুনিয়র শিক্ষকগণ তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে, নিজেদেরকে শিক্ষাদান ক্ষেত্রে যোগ্য করে তুলতে পারে।
বৃহত্তর নোয়াখালীর মুখপত্র লক্ষ্মীপুর বার্তা সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নের কথা জানতে চাইলে সমাজ-সচেতন, মানবদরদি ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন- আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকা জগতে লক্ষ্মীপুর বার্তা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এর প্রকাশনা উন্নত মানের। লক্ষ্মীপুর বার্তা বৃহত্তর নোয়াখালী, বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর জেলাকে দেশে-বিদেশে পরিচিত করে তুলছে। এর ‘ব্যক্তিত্ব’ কলামের মাধ্যমে বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতী সন্তানদের সুকৃতি তুলে ধরছে, তাদেরকে সবার কাছে পরিচিত করছে। নোয়াখালীর বিভিন্ন সমস্যার খবর যেমন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরছে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাবনার কথা সরকারের নজরে এনে তা বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয় লক্ষ্মীপুর বার্তা। এ পত্রিকার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনা, সত্য প্রকাশে সাহসী ভূমিকা সুধীজনের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমি এ পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য এবং অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করি।