ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ও তুখোড় ছাত্রনেতা, সততা ও নীতি-আদর্শে প্রোজ্জ্বল মোহাম্মদ নোমান এমপি
বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতী সন্তানরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। তাঁরা মেধা ও মননের সাথে সংযোগ করেছেন ডায়নামিক কর্মস্পৃহা এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এভাবে তাঁরা সমাজ প্রগতিতে রেখে চলেছেন সাফল্য ও সুকৃতির স্বাক্ষর। প্রতিভার বিচ্ছুরণে তাঁরা যেমন নিজেদের আলোকিত করেছেন, তেমনি বৃহত্তর নোয়াখালীকেও করেছেন গৌরবান্বিত। লক্ষ্মীপুর জেলার এমনই এক কৃতী সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ নোমান; যিনি পরোপকারী, সৎ, বিশ্বস্ত, চৌকস ও নির্ভরশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত। জন্মভূমি ও জন্মস্থানের কথা ভুলতে পারেননি বলে জনকল্যাণের বিরাট দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন; লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে নিরলস কাজ করছেন। শেকড়-সন্ধানী মোহাম্মদ নোমান আমজনতার সাথে মিশে তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে নিবিষ্ট রয়েছেন জনকল্যাণে। এভাবেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন অন্তর্জগতে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন সাধারণ মানুষের কল্যাণসাধন ও এলাকার উন্নয়নে সম্পৃক্ত থাকার অপার সুযোগ।
মোহাম্মদ নোমান ১৯৬০ সালের ২১ মার্চ লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মাওলানা মোখলেসুর রহমান, মাতা রাফিকা বেগম। তাঁর স্ত্রী মিসেস শামসুন্নাহার একজন সৃজনশীল ফ্যাশন ডিজাইনার। তাঁরা রাফসান আরাফাত নামে এক সন্তানের জনক-জননী।
মোহাম্মদ নোমান এসএসসি পাস করেন সোনাপুর সলিম মেমোরিয়াল স্কুল থেকে। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্কুল ও কলেজ জীবনে অত্যন্ত মেধাবী এবং শিক্ষকদের প্রিয় ছাত্র মোহাম্মদ নোমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেই সমাজসেবা ও জনসেবায় নিবেদিত হন এবং সৎ-পরোপকারী জননেতা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। মোহাম্মদ নোমান এর ব্যক্তিদর্শন ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সমাজের উন্নয়ন, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, জনদুর্ভোগ দূরীকরণ, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ প্রভৃতি। নিজ জন্ম-এলাকা লক্ষ্মীপুরের জনচাহিদা পূরণে তিনি সর্বদা সচেষ্ট এবং লক্ষ্মীপুরের যেকোনো উন্নয়নকর্মে সর্বদাই আন্তরিক।
সমাজসেবা ও জনসেবায় নিবেদিত মোহাম্মদ নোমান এর এরূপ প্রাগ্রসর ও প্রেরণাদায়ী কার্যক্রমকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, শতাব্দী থেকে শতাব্দীতে অনুকরণীয় ও স্মরণীয়-বরণীয় করতে লক্ষ্মীপুর বার্তা’র ৩০ বর্ষ উপলক্ষে তাঁকে অতল শ্রদ্ধা ও অসীম ভালোবাসায় লক্ষ্মীপুর বার্তা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীর্ষ সমাজসেবী সম্মাননা জ্ঞাপন করছি। সেইসাথে তাঁর সুখ-সুস্বাস্থ্য ও অনন্ত সৃষ্টিশীল দীর্ঘজীবন কামনা করছি।