সন্ত্রাস, মাদক ও বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার দালাল বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহেল

সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্কের নাম এসআই সোহেল মিয়া। লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন দালালবাজার অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এসআই সোহেল কোনো দুর্নীতির সাথে আপোশ না করে জিহাদ ঘোষণা করেন। এতে ওই এলাকার চোর, ডাকাত, সন্ত্রাস, মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ও বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অনেক মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ এই পেশাটি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে ভালোভাবে জীবনযাপন শুরু করেছেন।
২০০২ সালে কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন মোঃ সোহেল মিয়া। চোর, ডাকাতের আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত মোঃ সোহেল মিয়া স্কুল জীবন থেকে কোথাও চোর, ডাকাত ধরা পড়েছে এমন খবর পেলে সেখানে দৌঁড়ে গিয়ে চোর, ডাকাতকে দেখতে যেতেন। উৎসুক জনতার ভীড় থেকে তিনি সামনে গিয়ে চোর, ডাকাতকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মেরে আত্মতৃপ্তি লাভ করতেন। বলতে গেলে স্কুল জীবন থেকে চোর, ডাকাত ছিল তাঁর ঘৃণার পাত্র।
এসআই মোঃ সোহেল মিয়া কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন গাংগোরকুট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০২ সালে কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পুলিশ একাডেমি ট্রেনিং শেষে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিগত ২০১১ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে পদোন্নতি লাভ করেন। এরপর লক্ষ্মীপুর সদর থানা ও রায়পুর থানায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি সদর থানার দালাল বাজার অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন থাকাকালীন ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে এসআই পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বর্তমানে দালালবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দক্ষতা ও সুমানের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি দালাল বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকাকালীন ৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ী, ৫ জন ডাকাত, অসংখ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী, বহু জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
তিনি দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করায় লক্ষ্মীপুর জেলার ৩ বারের শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হন। ব্যক্তিজীবনে এসআই সোহেল বিবাহিত। তাঁর ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন ও মানুষের সেবা করার জন্য এসআই মোঃ সোহেল মিয়া সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
-জাহাঙ্গীর লিটন