লক্ষ্মীপুরে দরবারের অনুসারী-গ্রামবাসী-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
লক্ষ্মীপুরের টুমচরে সুরেশ্বর দরবারের অনুসারী, গ্রামবাসী ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সদর থানার ওসিসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সুরেশ্বর অনুসারীদের ওরস পালনে গ্রামবাসীদের বাধা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৮০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এসময় রাকিব হোসেন, ইউছুফ, রাহিদ আল জিহাদ গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সদস্য শাহজাহান, ফরিদসহ আরো ৩০ জন আহত হয়। এসময় পুলিশ সদস্যদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ সুপারসহ অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে পুলিশ। লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই ফারুক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এসময় আটক হওয়া ১০ গ্রামবাসীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, টুমচর ইউনিয়নের হায়দার আলী মুন্সির বাড়িতে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবারের খলিফা ফোরকানের আয়োজনে প্রতিবছর তিন দিনব্যাপী ওরস পালন করে আসছে অনুসারীরা। ওরস পালনের নামে ঢোল-বাজনা বাজিয়ে কবর বানিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো হয় এমন অভিযোগে স্থানীয়রা সুরেশ্বর অনুসারীদের প্রথমে বাধা দেয়। ২য় দিনে গ্রামবাসী মিছিল নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ওই বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ আস্তানা ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, সুরেশ্বর অনুসারীরা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া তাদের কার্যক্রম চালায়। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলে ওসিসহ পুলিশের ৮ সদস্য আহত হন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১০ জনকে আটক করে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
-জাহাঙ্গীর লিটন
