করোনা আক্রান্ত বায়েজীদ ভূঁইয়া, সুস্থ হয়ে জানালেন নিজের অভিজ্ঞতা
করোনা ভাইরাস নিয়ে অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, এর চিকিৎসা পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক মানুষদের মতো, তাদের এ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, খুব সহজভাবেই করোনা আক্রান্তরা নিজের মনোবল ও নিয়ম মেনে চললে সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জনসেবা করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়া লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ বায়েজীদ ভূঁইয়া। তিনি সাবেক বিমান পরিবহন পর্যটনমন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাংসদ একেএম শাহজাহান কামালের ব্যক্তিগত সহকারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকট নিরসনে সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এবং লক্ষ্মীপুরের সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামালের উপহার হিসেবে সাড়ে ১৭ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। মাসব্যাপী তাঁর নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের রিক্সাচালক, দিনমজুর, গরিব-অসহায়, নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত, প্রতিবন্ধী, পত্রিকা হকার, কর্মহীন মানুষগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রীগুলো পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া হটলাইনে ফোন পেয়েও রাতের আঁধারে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন মানুষের ঘরের দরজায়। সাংসদের পক্ষে নিজ কাঁধে বয়ে এসব খাদ্য সামগ্রীগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ বায়েজীদ ভূঁইয়া। সাংসদের পক্ষ থেকে চিকিৎসক, পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস ও সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা পোশাক দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় তিন হাজার মানুষের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যাক্সিসল বিতরণ করা হয়। ফোনে কল পেয়ে কয়েকজনের বাড়ি গিয়েও খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। শুরু থেকে করোনা সচেতনতায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। আর এসব সামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এমপির পক্ষ থেকে।
সাংসদের প্রতিনিধী বায়েজীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি শাহজাহান কামালের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যসংকট দূর করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। মাসব্যাপী বাড়ি বাড়ি খাদ্য পৌঁছে দিতে গিয়ে কিছুটা অসুস্থতা বোধ করায়, নিজেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু ১০ মে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ায় নিজে আলাদা একটি কক্ষে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাই। তবে মনোবল হারাই নাই। কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ গত ২৭ মে ৩য় রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সুস্থ ঘোষণা করে আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেয়। বর্তমানে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। এজন্য মহান সষ্টিকর্তার কাছে শোকরিয়া জানাই। সেসাথে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সাথে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে কোনো উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে আসার বার্তাও দেনবায়েজীদ ভূঁইয়া।
এদিকে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে করোনা জয় করা মোঃ বায়েজীদ ভূঁইয়াকে ৫ জুন রায়পুরের লুধুয়া ভূঁইয়া বাড়িতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিকরা।