সম্পাদকীয়
লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দেয়ার অনন্য উদ্যোগে একেএম সালাউদ্দিন টিপুকে অভিনন্দন
লক্ষ্মীপুর জেলার ফসলের মাঠে মাঠে এখন চলছে ধান কাটার মহোৎসব। আদিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে এখন শুধু ধান আর ধান। ধানভরা ফসলের মাঠ দেখে অনেক কৃষকের মুখভরা হাসি। আবার অনেক কৃষক চিন্তিত। ধান কাটার শ্রমিক নেয়ার মতো সামর্থ্য নেই বলে। ধান কাটতে হলে নিজেকেই কাটতে হবে। এনিয়ে তাদের মুখে দুঃশ্চিন্তার গভীর কালো ছায়া। আর এই চিন্তিত কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে কৃষকের ধান কেটে দেয়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুর জেলায় এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপু। তাঁর এ অনন্য মহতী উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর জেলার সকল উপজেলা ও ইউনিয়নে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার মহাকর্মযজ্ঞে লিপ্ত রয়েছেন।
করোনাকালীন এই সময়ে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার এই সময়োপযোগী উদ্যোগ সত্যিই অনন্য। সালাউদ্দিন টিপুর এই অনন্যসাধারণ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার।
লক্ষ্মীপুরে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
লক্ষ্মীপুরে গত বছরের তুলনায় এবছর সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। সরকারি উদ্যোগে কৃষি প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন এবং বিভিন্ন প্রদর্শনী প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে এমন অভূতপূর্ব উন্নতি। অনুকূল আবহাওয়া এবং সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে আগামীতে লক্ষ্মীপুর জেলা সূর্যমুখীর দেশে পরিণত হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যমুখী সারাবছর চাষ করা যায়। তবে অগ্রহায়ণ মাসে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। চাষাবাদের মাত্র ১১০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলায় ১ হাজার ৮৭৮ বিঘা বা ৪৭৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩২ গুণ বেশি।
সূর্যমুখী চাষে খরচ কম, পরিশ্রমও তুলনামূলকভাবে কম। তাছাড়া সূর্যমুখীর বীজ থেকে শুরু করে সবকিছুই কাজে লাগানো যায়। স্বল্প সময় এবং স্বল্প খরচে অধিক লাভ। এ বছর উৎপাদন ভালো হলে আগামীতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতিকারক ইরোসিক এসিডমুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভোজ্য তেলের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপযুক্ত। বর্তমান বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এভাবে সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়ানো গেলে লক্ষ্মীপুর সূর্যমুখীর দেশে পরিণত হবে। তাই লক্ষ্মীপুরে সূর্যমুখীর চাষের অপার সম্ভাবনাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।