Sun Mercury Venus Ve Ves
বিশেষ খবর
‘লক্ষী’ থেকে লক্ষীপুর, যার আরেক নাম সয়াল্যান্ড  লক্ষীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা  ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ  আ’লীগ আবারও ভোট চুরির পরিকল্পনা করছে - লক্ষীপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী  শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে বাংলাদেশে দিবাস্বপ্ন দেখার কোনো কারণ নেই - লক্ষীপুরে মাহবুব উল আলম হানিফ 

নোয়াখালীর শিল্প-বাণিজ্য

নোয়াখালীর

শিল্প-বাণিজ্য




অবহেলিত-অনগ্রসর

সমস্যা-সম্ভাবনা


শিল্প কারখানার দিক দিয়ে নোয়াখালী অতীতকাল থেকেই অবহেলিত এবং অনগ্রসর। জনসম্পদে এ জেলার ঐতিহ্য থাকলেও শিল্প স্থাপনে সরকারি ও বেসরকারি তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এ জেলারই বহু অধিবাসী দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় শিল্প-কারখানা স্থাপন করেছেন। অথচ এ জেলার জনগণ কাজের খোঁজে দেশ-বিদেশে হন্যে হয়ে বেড়াচ্ছে। এত অনীহা এবং অবহেলা সত্বেও কিছু শিল্প-কারখানা স্থাপিত হয়েছে। নিম্নে কিছু ভারীশিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়ী কিছু মৎস্য চাষ প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করা হলো।



ডেল্টা জুট মিলস লিঃ

বৃহত্তর নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী ডেল্টা জুট মিল্স লিঃ ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয়। ৫ কোটি টাকার পুঁজি যা প্রতিটি ১০ টাকা দরে ৫০,০০,০০০ সাধারণ শেয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৬০ একর এলাকা নিয়ে মিলখানা চালু করা হয়। প্রায় ৫,০০০ শ্রমিক কর্মচারী এ কারখানায় কাজ করার সুযোগ পান। মালিক শ্রমিক সম্পর্কের জটিলতার কারণে দির্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মিলটি বর্তমানে পুনরায় চালু হয়েছে। মিলটি বর্তমানে বেসরকারি মালিকানাধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

হাবিব ভেজিটেবল প্রোডাক্টস লিঃ

মেসার্স আল আমিন ব্রেড এন্ড বিস্কুটস্ ফ্যাক্টরীর উদ্যোক্তা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানের বিশেষ প্রেরণায় তাঁর বড় ছেলে জনাব আনোয়ার মির্জার অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্ঠায় এবং তাঁর অন্যান্য ভাইদের সহযোগিতায় ১৯৮৭ সালে নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী বাজারে মেসার্স হাবিব ভেজিটেবল প্রোডাক্টস লিঃ স্থাপিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকের অর্থায়ন এবং নিজেদের অর্থসহ প্রায় ১২ কোটি টাকার মূলধন ব্যয়ে পশ্চিম জার্মানীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভোজ্য তেল শোধানাগার এবং বনস্পতি প্রস্তুতকারী এ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫ একর ভূ-সম্পত্তির উপর স্থাপিত। বৎসরে প্রায় ৫৪ হাজার টন তৈল উৎপাদনে সক্ষম এ প্রকল্পে ১৯৮৮ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৩০০ শ্রমিক কর্মচারী নিয়োজিত থেকে জেলার বেকার সমস্যা সমাধানসহ জাতীয় অর্থনীতি উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখছে। চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান এর মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব সারোয়ার মির্জা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আফজল মির্জার সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদের তত্বাবধানে এ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সমস্যা এবং লোকসানের সম্মুখীন হলে তাঁদের অগ্রজ জনাব আনোয়ার মির্জার নিকট প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দেন। সে থেকে অদ্যাবধি উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলেও তা আজো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছেনি।

আল আমিন ব্রেড এন্ড বিস্কুটস লিঃ

মেসার্স আল আমিন ব্রেড এন্ড বিস্কুটস ফ্যাক্টরী ১৯৭৬ সালে নোয়াখালী জেলার কেন্দ্রস্থল মাইজদী বাজারে স্থাপিত হয়। মাইজদী বাজারসহ জেলা শহরের প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত এককালের ঐতিহ্যবাহী মোহাম্মদী বিস্কুট ফ্যাক্টরী এবং চৌমুহনী বাজারে স্থাপিত মোস্তফা বিস্কুট ফ্যাক্টরীর মালিক আলহাজ্ব জনাব হাবিবুর রহমানের প্রেরণায় তাঁরই বড় ছেলে জনাব আনোয়ার মির্জার উদ্যোগে এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যক্তি-মালিকানায় ব্যাংকঋণ এবং নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পুঁজি ব্যয়ে ১৯৭৭ সালে মেসার্স আল-আমিন ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীর ১ম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। প্রায় ২ একর সম্পত্তির উপর অবস্থিত আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এ ফ্যাক্টরীতে বর্তমানে ৩ ইউনিটে উৎপাদন চলছে। প্রতিদিন আনুমানিক ২০ টন বিভিন্ন উন্নত মানের বিস্কুট উৎপাদনে সক্ষম এ ফ্যাক্টরীতে জেলার সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী তথা প্রায় ১০ হাজার পরিবারের আর্থিক সংকট নিরসনে বিরাট অবদান রাখছে। এ ফ্যাক্টরীর উৎপাদিত বিস্কুটস সামগ্রী সমগ্র দেশে খ্যাতি লাভ করায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।

গ্লোব এগ্রো ফিশারিজ লিঃ

এ প্রকল্পটি নোয়াখালী উপক‚লীয় এলাকার অন্যতম বড় প্রকল্প। প্রায় ২২০ একর ভূ-সম্পত্তির উপর ৮৮টি পুকুর খনন করে এ প্রকল্প কাজ শুরু করেছে। নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর বাগ্গাতে স্থাপিত এ প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা জনাব মোঃ হারুন রশীদ ও জনাব মোঃ মামুনুর রশীদ। মৎস্য চাষে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা এ সকল প্রকল্প পুরাপুরি বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্য উৎপাদানে সফল হলে নোয়াখালীবাসী আর্থিকভাবে খুব উপকৃত হবেন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এ সকল উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় প্রকল্প বিরাট অবদান রাখবে।

আল-আমিন ফিশারিজ লিঃ

এ প্রকল্পটি নোয়াখালী উপক‚লীয় এলাকার অন্যতম বড় প্রকল্প। প্রায় ৩০০ একর সম্পত্তির উপর শতাধিক পুকুর খনন করে এ প্রকল্প কাজ শুরু করেছে। নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার হাতিয়া স্টিমার ঘাট সংলগ্নে স্থাপিত এ প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা জনাব আনোয়ার মির্জা। প্রকল্পটি মৎস্য উৎপাদন করে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে।