Sun Mercury Venus Ve Ves
বিশেষ খবর
‘লক্ষী’ থেকে লক্ষীপুর, যার আরেক নাম সয়াল্যান্ড  লক্ষীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা  ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুল শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ  আ’লীগ আবারও ভোট চুরির পরিকল্পনা করছে - লক্ষীপুরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী  শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে বাংলাদেশে দিবাস্বপ্ন দেখার কোনো কারণ নেই - লক্ষীপুরে মাহবুব উল আলম হানিফ 

নোয়াখালীর সন্তানগণ তাঁদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন -ড. মোহাম্মদ খালেদ

মাত্র দেড় বছর বয়সে জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরের ঠিকানা ছেড়ে এসেছেন, এরপর খুব কম সময়ই গ্রামে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। ঐ সময়ের স্মৃতি ভুলতে পারেননি; কোনো কোনো স্মৃতি এখনও মনকে নাড়া দেয়। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী এ ব্যক্তিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। ইউজিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন কোনো প্রকার তদ্বির বা সুপারিশ ছাড়া। তাই কর্মজীবনেও তিনি কারুর জন্য তদ্বির বা সুপারিশ পছন্দ করেন না। কর্মজীবনে সকল প্রকার Parochialism, Favoritism বা Nepotism একেবারেই পছন্দ করেন না। এছাড়া Professional ethics এর উপর তিনি সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত আমাদের আজকের আলোচ্য ব্যক্তিত্ব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব, বৃহত্তর নোয়াখালী তথা লক্ষ্মীপুরের সুসন্তান ড. মোহাম্মদ খালেদ। সম্প্রতি তাঁর সাথে লক্ষ্মীপুর বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি রাজিব গুপ্ত একান্ত আলাপচারিতায় মিলিত হন। তাঁদের আলাপচারিতার উল্লেখযোগ্য অংশ লক্ষ্মীপুর বার্তা’র সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফার অনুলিখনে পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো।
জন্মস্থানের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন কি এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহত্তর নোয়াখালীর সুসন্তান ড. মোঃ খালেদ বলেন, জন্মভূমির প্রতি আকর্ষণ মানুষের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। যে ব্যক্তি জননী ও জন্মভূমিকে ভালোবাসে, সে দেশকেও ভালোবাসে। মাত্র দেড় বছর বয়সে পরিবারের সাথে চলে যাই সাবেক পশ্চিম পাকিস্তানের করাচীতে। এরপর করাচী থেকে ১৯৬৫ সালে বেড়াতে এসে এক মাস এবং পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ৩ মাস গ্রামে বসবাস করেছি। এখন গ্রামে বসবাস না করলেও গ্রামটিকে কখনও ভুলতে পারিনি।
নিজ জন্মস্থানের পরিচয় দিতে কেমন অনুভূতি হয় এমন জিজ্ঞাসায় বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতী সন্তান ড. মোঃ খালেদ বলেন, জন্মস্থানের স্মৃতি যেকোনো মানুষকে আবেগতাড়িত করে। যত দূরেই থাকুক না কেন, জন্মভূমি তথা জন্মস্থানের মাটি ও মানুষ তাকে আকর্ষণ করে। হয়তবা এজন্যই গুরুজনরা বলেন, শেকড়ের টান। আমার জন্ম লক্ষ্মীপুরে, সেখানে না থাকলেও নাড়ির টান সবসময়ই অনুভব করি। আমার গ্রাম এবং গ্রামের মানুষ এখনও আমার স্মৃতিপটে উজ্জ্বল হয়ে আছে। আমি এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে জন্মভূমিকে অস্বীকার করল, সে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করল। তিনি বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালী অনেক কৃতী সন্তানের জন্ম দিয়েছে। যাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ও সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, যশস্বী সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, প্রথিতযশা ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি রয়েছেন। তাঁরা কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে যেমন দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন বা করছেন, তেমনি গৌরবান্বিত করছেন নোয়াখালীবাসীকে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোয়াখালীর কৃতী সন্তানদের অবদানের কথা জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। এমন একটি অঞ্চলের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি।
নোয়াখালীর এমন কোনো স্মৃতি আছে কী, যা এখনও আপনার মনকে দোলা দেয় এমন প্রশ্নে ড. মোঃ খালেদ বলেন, ১৯৭৩ সালে আমরা স্কুলের ছেলে-মেয়েরা দলবেঁধে খেলাধুলা করতাম। ছায়াঘেরা-মায়াভরা পল্লীর স্নিগ্ধ পরিবেশে আমার তিন মাস কেটেছে। কত বিচিত্র বর্ণের পাখি তখন ছিল, যাদের কন্ঠস্বরেও ছিল বৈচিত্র্য। মনে পড়ে একবার খেলার সময় আমার এক সহপাঠির জামা ছিঁড়ে ফেলেছিলাম; সে ছিল গরিব, হয়তো একাধিক জামা তার ছিল না। তদুপরি জামা ছেঁড়ার পর সে কাউকে কিছুই বলেনি। তবে এরপরে তাকে আর স্কুলেও দেখা যায়নি। হয়তো অন্য কোনো জামা না থাকার কারণেই তার স্কুলে আসা বন্ধ হয়েছে। তার সাথে এরপর আর কখনও দেখা হয়নি। এ ঘটনাটা আমাকে খুব ব্যথা দিয়েছে। তার কথা ভেবে এখনও মনে কষ্ট অনুভব করি।
নিজ এলাকার কোন্ বিষয়টিকে প্রধান সমস্যা বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোঃ খালেদ বলেন, লক্ষ্মীপুরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রধান সমস্যা বলে মনে করি। একটি সম্ভাবনাময়ী জেলা সন্ত্রাস কবলিত হয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কেমন পিছিয়ে পড়ছে, লক্ষ্মীপুরের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে তা ফুটে ওঠে। তবে প্রশাসন এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে লক্ষ্মীপুরকে শান্তির জনপদে পরিণত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর মূল সমস্যা কোনটি এবং এর সমাধানে পরামর্শ জানতে চাইলে ইউজিসি’র ডায়নামিক সচিব ড. মোঃ খালেদ বলেন নোয়াখালীতে অনেক সমস্যাই রয়েছে, তবে শিক্ষার হার উন্নত করা গেলে সেসব সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে; এছাড়া নোয়াখালীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। নোয়াখালীর লোক কর্মঠ, তারা সৃজনশীল, সমাজ সচেতন। নোয়াখালীর মানুষকে যদি তাদের ভালো কাজে সহযোগিতা করা যায়, পৃষ্ঠপোষকতা করা যায় তাহলে দেশের অগ্রগতিতে তারা আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। এখানে কুটির শিল্পের প্রসার, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে নোয়াখালীবাসী তাদের কর্মসাফল্যের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির পথে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
ব্যাংকের অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে পেশা পরিবর্তন করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সুদূরপ্রসারী চিন্তার অধিকারী ড. মোঃ খালেদ বলেন, আমি যোগ্যতা বলে ব্যাংকিং পেশায় যোগদান করলেও টেকনিক্যাল কারণে পদোন্নতি হচ্ছিল না। তখন ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে ব্যাংকের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দেই। সেসময় শুধু আমি নই, আরও বেশ ক’জন কর্মকর্তা ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যান।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ
করে প্রশাসনে গতিশীলতা আনয়নে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন এমন জিজ্ঞাসায় কল্যাণকামী ব্যক্তিত্ব ড. মোঃ খালেদ বলেন, ইউজিসিতে যোগদান করে পলিসি প্রণয়নের কাজে মনোযোগ দেই। ইউজিসিতে নীতিমালা ও বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিরাজিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর খসড়া প্রণয়ন থেকে পার্লামেন্টের কমিটিতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া পর্যন্ত যাবতীয় সব বিষয়ে আমি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। ২০১০ সালে আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয় । এছাড়া আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের নীতিমালা, এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের খসড়া যুুগোপযোগীকরণ, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার পরিচালনা সংক্রান্ত বিধিমালা খসড়া প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছি। প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশনের খসড়াটি আমি আমার একজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে (ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব) প্রণয়ন করেছি। জাতীয় শিক্ষা নীতির ভিত্তিতে জাতীয় শিক্ষা আইনের যে খসড়া প্রণীত হয়েছে, তাতেও ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে আমি তাৎপর্যপূর্ণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছি।
ইউজিসিতে প্রথম দিকে নিয়োগের নীতিমালা এবং MPQ (Minimum Prescribed Qualification) ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। MPQ কে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার সুযোগ ছিল। ফলে সরাসরি নিয়োগ লাভের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজের যোগ্যতার ওপর নির্ভর না করে কর্তৃপক্ষের নৈকট্য লাভের জন্য অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতো। ফলে নিয়োগ কাজেও সমস্যা হতো। পরবর্তীতে চিন্তা-ভাবনা করে সুচিন্তিতভাবে MPQ পরিবর্র্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যথাযথভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এরপর যারা কোয়লিফাই করছে, তাদের ভাইভা নেয়া হচ্ছে। ভাইভার সময় যেসব প্রশ্ন করা হয়, তাতে অযোগ্য প্রার্থী চিহ্নিত হয়ে যায়। এখন আর উচ্চতর পদে নিয়োগলাভ কিংবা পদোন্নতি/পদোন্নয়নের জন্য কোনো প্রকার অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
ইউজিসিকে ঘিরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে ড. মোঃ খালেদ বলেন, ইউজিসিতে করার মতো অনেক কাজ আছে। এখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল দরকার। উচ্চশিক্ষার ওপর গবেষণা, লেখালেখি করা দরকার। আমি চীন, জাপান, ভারত, মালয়েশিয়া ৪টি দেশের Internationalization of Higher Education Policy পর্যালোচনা করেছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের পলিসি থাকা আবশ্যক। এছাড়া National Qualification Framework এবং National Skill Framework প্রণয়ন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। ড. খালেদ বলেন, আমরা যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে যেতে পারি, আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে যদি সেভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমরা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড সিটিজেন পাব, দক্ষ জনবল পাব। তাহলে আমাদের লোকজন বিশ্বে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করে নিতে পারবে।
বৃহত্তর নোয়াখালীর শিল্পপতিগণ নিজ এলাকায় শিল্পস্থাপনে কেন এগিয়ে আসেন না, তাদের মনোভাব পরিবর্তনে কী উদ্যোগ নেয়া যায় এমন প্রশ্নে দক্ষ প্রশাসক ড. মোঃ খালেদ বলেন, শিল্পপতিদের নিজ এলাকার প্রতি অবশ্যই টান আছে; কিন্তু শিল্প স্থাপনের আগে তাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়। তন্মধ্যে পর্যাপ্ত জমির প্রাপ্যতা, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্যাস এবং বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন যোগান, দক্ষ শ্রমিকের সহজলভ্যতা, সর্বোপরি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাছাড়া তাদের কারখানার উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাত করতে কিংবা বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন কিনা সেসব বিষয়ও শিল্পপতিগণ বিবেচনায় আনেন। তাই বলা যায়, বৃহত্তর নোয়াখালীতে সরকার শিল্পবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নোয়াখালীর শিল্পপতিগণ এলাকায় শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
বিশ্বায়নের এ যুগে কম্পিউটার জ্ঞান ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় বলে মনে করেন এমন প্রশ্নে ড. মোঃ খালেদ বলেন, এ বিশাল কাজ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকেও এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন, হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছেন। এখন শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার পালা। তারা যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বায়ন প্রতিযোগিতায় নিজকে সম্পৃক্ত করে, তাহলেই বিশ্ব-আইটি মার্কেটে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের স্থান করে নিতে পারবে।
বৃহত্তর নোয়াখালীর মুখপত্র নোয়াখালীর কন্ঠস্বর বলে খ্যাত লক্ষ্মীপুর বার্তা সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করে বৃহত্তর নোয়াখালীর সুসন্তান ড. মোঃ খালেদ বলেন লক্ষ্মীপুর বার্তা বৃহত্তর নোয়াখালী বিশেষ করে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছে; পাশাপাশি সমস্যা সমাধানেরও পরামর্শ দিচ্ছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতী সন্তানদের জেলাবাসীর কাছে পরিচিত করছে। আমি এ পত্রিকার অব্যাহত সমৃদ্ধ প্রকাশনা কামনা করছি।